প্রকৃতি থেকে আগত একটি অসাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি – ওজোন থেরাপি
ব্যথা মুক্ত জীবনের নতুন দিগন্ত


ওজন থেরাপি কিভাবে কাজ করে?
ওজন থেরাপি ৩ টি অক্সিজেন এর অনু যা শরীরে প্রবেশের পরে শরীরের কোষ পর্যায়ে কোন ক্ষতিগ্রস্ত কোষ থাকলে তাকে সুস্থ করে তোলে। এছাড়া ওজন খুবই ভালো মানের জীবানুনাশক যা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ক্ষতি কমাতে ও কাজ করে।
ওজন থেরাপি একটি বৃহদাকারের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং অনেক রোগের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা বেশ কার্যকরী কিছু ক্ষেত্রে অন্য চিকিৎসার পাশাপাশি ওজন থেরাপি নিলে সুস্থ হওয়ার প্রবনতা অনেকটা বেড়ে যায়।
- ওজন থেরাপি ইনজেকশন দিয়ে দেওয়া হতে পারে।
- পায়ুপথে বা ওজন অয়েল হিসেবে দেওয়া হতে পারে।
- ওজন পানি ছাড়াও আরো বেশ কিছু পদ্ধতিতে ওজন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
যেসব সমস্যায় ওজন থেরাপি কার্যকর
কোমরের ব্যথা (PLID)

কোমরের ব্যথা (Low Back Pain) হলো একটি অত্যন্ত সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা বিশ্বের প্রায় ৮০% মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত কোমরের নিচের অংশে অনুভূত হয় এবং ব্যথার তীব্রতা হালকা থেকে শুরু করে তীব্র পর্যন্ত হতে পারে।
চিকিৎসা:
পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF) – এই থেরাপিতে কোমরের ব্যথা উপশমে কম ফ্রিকোয়েন্সির ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ব্যবহার করা হয়। এটি কোষের মেরামত ও রক্তসঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজোন থেরাপি – ওজোন গ্যাসের মাধ্যমে প্রদাহ ও ব্যথা কমানো হয়। এটি কোমরের ডিস্কের সমস্যায় খুবই কার্যকর একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – এটি চীনা আকুপাংচারের উন্নত একটি রূপ, যেখানে বিদ্যুৎ প্রবাহ ব্যবহার করে স্নায়ু উদ্দীপ্ত করা হয়। কোমরের পেশি শিথিল ও ব্যথা নিয়ন্ত্রণে এটি কার্যকর।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে কৌশলগতভাবে পেশি ও জয়েন্টে কাজ করে ব্যথা উপশম করা হয়। এটি কোমরের জড়তা দূর করে চলাফেরায় স্বস্তি এনে দেয়।
হাঁটুর ব্যথা

হাঁটু ব্যথা (Knee Pain) হলো একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, যা যেকোনো বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা যেতে পারে। হাঁটু আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা চলাফেরা, বসা, দাঁড়ানো, দৌড়ানোসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। হাঁটুতে ব্যথা হলে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়।
চিকিৎসা: শকওয়েভ থেরাপি – শকওয়েভ থেরাপি হাঁটুর ব্যথা কমাতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ব্যবহার করে টিস্যু পুনর্গঠন ও ব্যথা উপশম করে।
ইলেক্ট্রো আকুপাংচার –হাঁটুর ব্যথায় ইলেক্ট্রো আকুপাংচার স্নায়ু উদ্দীপ্ত করে ব্যথা কমাতে এবং পেশি শিথিল করতে সহায়তা করে।
ওজোন থেরাপি – ওজোন থেরাপি হাঁটুর জয়েন্টে গ্যাস প্রয়োগ করে প্রদাহ কমায় ও চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাঁটুর জয়েন্ট ও পেশির ওপর হাতে চাপ ও টান প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যথা ও জড়তা দূর করা হয়।

ঘাড়ের ব্যথা বা “নেক পেইন” একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, কাজের চাপ, বা শারীরিক অসুস্থতার কারণে হতে পারে। এটি ঘাড়ের মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, বা স্নায়ুতে অস্বস্তি বা যন্ত্রণার অনুভূতি হিসেবে প্রকাশ পায়। বর্তমান সময়ে ডেস্ক জব, স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার, ভুল ভঙ্গিতে বসা বা শোয়া, এবং মানসিক চাপ এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
চিকিৎসা: ওজোন থেরাপি – ঘাড়ের ব্যথা কমাতে ওজোন গ্যাস জয়েন্টে প্রয়োগ করে প্রদাহ ও ব্যথা দ্রুত উপশম করা যায়।
পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF) – PEMF থেরাপিতে ঘাড়ের কোষে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ প্রয়োগ করে ব্যথা ও পেশির চাপ কমানো হয়।
ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – ইলেক্ট্রো আকুপাংচারে ঘাড়ের স্নায়ুতে হালকা বিদ্যুৎ প্রবাহ দিয়ে ব্যথা ও টান কমানো হয়।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে ঘাড়ের পেশি ও জয়েন্টে কৌশলগত চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করা হয়।
পিঠের ব্যথা

পিঠের ব্যথা (Back Pain) আজকের ব্যস্ত জীবনের একটি অতি পরিচিত সমস্যা। অফিসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডেস্কে বসে কাজ, ভারী জিনিস তোলা, বা শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি—সবকিছু মিলেই এই ব্যথা যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। শুরুতে হালকা মনে হলেও, সময়মতো যত্ন না নিলে এটি ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
চিকিৎসা: ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – ইলেক্ট্রো আকুপাংচারে পিঠের স্নায়ুতে হালকা বিদ্যুৎ প্রবাহ প্রয়োগ করে ব্যথা ও পেশির টান দূর করা হয়।
পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF) – PEMF থেরাপি পিঠের কোষে গভীরভাবে কাজ করে প্রদাহ কমায় ও ব্যথা উপশমে সহায়তা করে।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে পিঠের পেশি ও জয়েন্টে চাপ প্রয়োগ করে জড়তা ও ব্যথা দূর করা হয়।
জয়েন্টের ব্যথা

জয়েন্টে ব্যথা বলতে বোঝায় শরীরের যেকোনো জয়েন্টে ব্যথা, অস্বস্তি এবং ঘা। এটি এক বা একাধিক জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। অস্টিওআর্থারাইটিস, বারসাইটিস, গাউট, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, মচকে যাওয়া, স্ট্রেন এবং অন্যান্য আঘাত সহ বেশ কয়েকটি অবস্থা জয়েন্টগুলিতে ব্যথার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসা: ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – ইলেক্ট্রো আকুপাংচারে হালকা বিদ্যুৎ প্রবাহ ব্যবহার করে জয়েন্টের স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে ব্যথা ও প্রদাহ কমানো হয়।
শকওয়েভ থেরাপি – শকওয়েভ থেরাপিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ব্যবহার করে জয়েন্টের ভেতরের ক্ষত সারিয়ে ব্যথা উপশম করা হয়।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে বিশেষ কৌশলে জয়েন্টের পেশি ও টিস্যুতে চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করা হয়।
পায়ের ব্যথা

পায়ে ব্যথা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি সাধারণ সমস্যা, তবুও আমরা প্রায়ই এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিই না। পা আমাদের সমস্ত শরীরের ভার বহন করে এবং প্রতিটি পদক্ষেপে আমাদের চলাফেরায় সহায়তা করে। কিন্তু যতক্ষণ না পায়ে ব্যথা বা অস্বস্তি শুরু হয়, ততক্ষণ আমরা এর যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না। নানা কারণে পায়ে ব্যথা হতে পারে—হাড়, পেশি, স্নায়ু বা জয়েন্টের সমস্যা থেকে শুরু করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, অস্বস্তিকর জুতো বা আঘাতও এর জন্য দায়ী হতে পারে। আর একবার পায়ে ব্যথা শুরু হলে তা সহ্য করা সত্যিই কষ্টকর এবং দৈনন্দিন কাজকর্মে বাধার সৃষ্টি করে। তাই পায়ের সুস্থতার প্রতি সচেতন হওয়া এবং প্রাথমিক অবস্থাতেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসা: ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – এই থেরাপিতে হালকা ইলেকট্রিক তরঙ্গ দিয়ে স্নায়ু উদ্দীপ্ত করে পায়ের ব্যথা ও পেশির জড়তা কমানো হয়।
পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF) – PEMF থেরাপি পায়ের কোষে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ প্রয়োগ করে প্রদাহ ও ব্যথা উপশমে কার্যকর।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কৌশলে পায়ের পেশি ও জয়েন্টে কাজ করে ব্যথা ও অস্বস্তি কমানো হয়।

কনুই ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এর মধ্যে টেন্ডিনাইটিস (যেমন টেনিস এলবো বা গলফারস এলবো) অন্যতম প্রধান। এই ধরনের ব্যথার প্রধান কারণ হলো কনুইয়ের চারপাশে থাকা টেন্ডনগুলির প্রদাহ বা ছোট ছোট আঘাত। অতিরিক্ত ব্যবহার, পুনরাবৃত্তিমূলক নড়াচড়া, বা ভুল পদ্ধতিতে কাজ করার ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আঘাত, যেমন সরাসরি কনুইতে আঘাত লাগা বা হাড় ভেঙে যাওয়া, কনুই ব্যথার আরেকটি কারণ।
চিকিৎসা: ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – ইলেক্ট্রো আকুপাংচার থেরাপিতে হালকা বিদ্যুৎ প্রবাহ দিয়ে কনুইয়ের স্নায়ু উদ্দীপ্ত করে ব্যথা ও টান কমানো হয়।
পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF) – PEMF থেরাপি কনুইয়ের কোষে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সিগনাল পাঠিয়ে প্রদাহ ও ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
শকওয়েভ থেরাপি – শকওয়েভ থেরাপিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির তরঙ্গ ব্যবহার করে কনুইয়ের গভীরে ব্যথার উৎসে কাজ করা হয়।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে কৌশলগত চাপ প্রয়োগ করে কনুইয়ের পেশি ও জয়েন্টে জমে থাকা টান ও ব্যথা দূর করা হয়।

আপনি কি কাঁধে ব্যথায় ভুগছেন? একটু হাত উঠালেই কি যন্ত্রণা হয়? অথবা রাতে ঘুমাতে গিয়ে বারবার ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়? কাঁধে ব্যথা শুধু একটি শারীরিক সমস্যা নয়। এটি আপনার দৈনন্দিন জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে!
চিকিৎসা: ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – ইলেক্ট্রো আকুপাংচারে কাঁধের স্নায়ুতে হালকা বিদ্যুৎ প্রবাহ প্রয়োগ করে ব্যথা ও পেশির টান কমানো হয়।
পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF) – PEMF থেরাপি কাঁধের গভীরে কোষে কাজ করে রক্তসঞ্চালন বাড়ায় ও প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশম করে।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – হাতের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কৌশলে কাঁধের জয়েন্ট ও পেশিতে চাপ প্রয়োগ করে ব্যথা ও অস্বস্তি দূর করা হয়।
গোড়ালি ব্যথা

এক পা আগাতে গেলেই যন্ত্রণা! গোড়ালির ব্যথা আপনার চলাফেরাকে করে তোলে যন্ত্রণাদায়ক? প্রতিদিনের হাঁটাচলা, সিঁড়ি ভাঙা কিংবা দাঁড়িয়ে থাকার সময় যদি গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে এটি কোনো সাধারণ সমস্যা নয়!
চিকিৎসা: শকওয়েভ থেরাপি – শকওয়েভ থেরাপি উচ্চ-শক্তির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে গোড়ালির দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কমায় এবং টিস্যু মেরামত ত্বরান্বিত করে।
ইলেক্ট্রো আকুপাংচার – ইলেক্ট্রো আকুপাংচার বৈদ্যুতিক উদ্দীপনার মাধ্যমে ব্যথা ও প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি হাতের কৌশলে জয়েন্টের গতিশীলতা বাড়ায় এবং আঘাত পুনর্বাসনে সহায়তা করে।

হঠাৎ করেই মাথার একপাশে ধক ধক করে ব্যথা শুরু হয়? আলো-আওয়াজ অসহ্য লাগে? বমি ভাব, ঝিমঝিম করা, আর মনোযোগে ভাটা। এই সবকিছুই যদি একসাথে হয়, তাহলে আপনি সম্ভবত মাইগ্রেনের ব্যথায় ভুগছেন।
মাইগ্রেন শুধু একটি সাধারণ মাথাব্যথা নয়। এটি এক ধরনের স্নায়বিক সমস্যা, যা একবার শুরু হলে পুরোদিনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। অনেকের জন্য এটি শুধু শারীরিক কষ্টই নয়, বরং মানসিক চাপ, কর্মক্ষমতা হ্রাস এবং জীবনযাত্রার মানের ওপর বড় প্রভাব ফেলে।
চিকিৎসা: আরটিএমএস (rTMS) – রিপিটিটিভ ট্রান্সক্রানিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন মস্তিষ্কের স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে মাইগ্রেনের তীব্রতা কমায়। নিয়মিত সেশনের মাধ্যমে মাইগ্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি এবং ব্যথার মাত্রা হ্রাস পায়।
ইলেক্ট্রো আকুপাংচার –বৈদ্যুতিক উদ্দীপনার সাথে আকুপাংচার ব্যবহার করে মাইগ্রেনের ব্যথা ও টেনশন কমায়। মাথার নির্দিষ্ট পয়েন্টে প্রয়োগ করে রক্তসঞ্চালন ও স্নায়ু শান্ত করে।
ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি – ঘাড় ও কাঁধের পেশীর টান কমাতে ম্যানুয়াল কৌশল ব্যবহার করে মাইগ্রেন উপশমে সহায়তা করে। জয়েন্ট মোবিলাইজেশন ও ম্যাসাজের মাধ্যমে স্ট্রেস-ট্রিগারড মাইগ্রেন কমায়।
রোগীর অভিজ্ঞতা
আমি তিন মাস ধরে কোমরের ব্যথায় ভুগছিলাম। অনেক চিকিৎসা করেও ভালো ফল পাচ্ছিলাম না। শকওয়েভ থেরাপি নেওয়ার মাত্র ৪টি সেশনের পরই আমি ব্যথামুক্ত চলাফেরা করতে পারছি। এক কথায় অসাধারণ সেবা!

হাসানুল ইসলাম
ধানমন্ডি, ঢাকা
আমার কাঁধ পুরোপুরি জমে গিয়েছিল (ফ্রোজেন শোল্ডার)। হাত তুলতে পারতাম না। শকওয়েভ থেরাপির মাধ্যমে ধীরে ধীরে কাঁধ আবার আগের মতো নড়াচড়া করতে পারছে। চিকিৎসক ও স্টাফদের ধন্যবাদ!

সালমা আক্তার
আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম
হাঁটুতে আর্থ্রাইটিসের জন্য খুব কষ্টে ছিলাম। সিঁড়ি উঠতে নামতে কষ্ট হতো। এখন ৫ সেশন নেওয়ার পর অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি। অপারেশন ছাড়াও এত ভালো ফল পেতে পারব ভাবিনি।

আবু তাহের
খুলনা শহর, খুলনা
সাধারণ জিজ্ঞাসা / FAQ
আপনার প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
উত্তর:
সমস্যার ধরন ও থেরাপির উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে সময় নির্ধারিত হয়। সাধারণত ২০–৩০ মিনিটের সেশন সপ্তাহে কয়েকবার করা হয়, তবে একজন থেরাপিস্টই উপযুক্ত সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।
উত্তর:
ওজনযুক্ত কম্বল (Weighted Blanket), ওয়েটেড ভেস্ট, মেডিসিন বল, থেরাব্যান্ড, ওজনযুক্ত কাফ ও অন্যান্য ফিজিওথেরাপি সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়।
উত্তর:
হ্যাঁ, তবে এটি অবশ্যই প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে করতে হবে। শিশুর বয়স, ওজন ও প্রয়োজন অনুযায়ী থেরাপির ধরন ঠিক করা উচিত।
উত্তর:
সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে অতিরিক্ত ওজন বা ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করলে পেশিতে টান, ব্যথা বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। তাই অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধান জরুরি।