কিডনি আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত পরিশোধন করে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। কিন্তু যখন কিডনিতে কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তখন এর লক্ষণ হিসেবে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ব্যথা অনেক সময় সাধারণ কোমর ব্যথার মতো মনে হলেও এর গুরুত্ব অনেক বেশি। সঠিক সময়ে কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয় এবং কি করতে হবে? তা জানা থাকলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
আপনি যদি ক্রমাগত এই ধরনের ব্যথা অনুভব করেন এবং এর সাথে জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, প্রস্রাবে রক্ত, বা শরীর ফুলে যাওয়ার মতো অন্যান্য লক্ষণ দেখতে পান, তবে অবিলম্বে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিজেকে সুস্থ রাখতে কিডনির এই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া আবশ্যক। আসুন জেনে নিই কিডনি সমস্যার ব্যথার অবস্থান ও এই পরিস্থিতিতে আপনার করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়?
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়, সাধারণত পিঠের পেছনের অংশে, পাঁজরের খাঁচার নিচে মেরুদণ্ডের দুপাশে অনুভূত হয়। এই ব্যথা কোমরের দুই পাশে ছড়িয়ে যেতে পারে এবং নড়াচড়া করে বা থেকে থেকে আসে। কিডনির সমস্যা হলে কোথায় ব্যথা হয়, এটি তলপেট, কুঁচকি ও উরু পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিডনির পাথরের কারণে ব্যথা পেট বা জোঁজ অঞ্চলে যেতে পারে। কিডনির সমস্যা হলে কি কি সমস্যা হয়, যেমন এই স্থানান্তরিত ব্যথা যা পেট, কুঁচকি, উরু এবং তলপেটেও অনুভূত হতে পারে।
ব্যথার অবস্থান সাধারণত মেরুদণ্ড থেকে একটু দূরে, ডান বা বাম পাশে হয়, এবং এটি পাঁজরের নিচের অংশে মনে হয়। কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়, যেমন পার্শ্বীয় অঞ্চলে পাঁজরের খাঁচার নীচে, এবং এটি গভীর এবং স্থায়ী হতে পারে। ডান কিডনিতে ব্যথা কিডনি পাথর বা সংক্রমণের সাথে যুক্ত হতে পারে, আর বাম কিডনিতে ব্যথা হাইড্রোনফ্রোসিস বা সংক্রমণের ইঙ্গিত।
ব্যথার প্রকৃতি এবং ধরন
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় ব্যথা হয়, এটি থেকে থেকে আসতে পারে, নড়াচড়া করে এবং শুয়ে-বসে বা কোনো কিছুতেই আরাম নাও মিলতে পারে। ব্যথা ধারালো এবং আকস্মিক থেকে ধ্রুবক নিস্তেজ পর্যন্ত হতে পারে। কিডনির সমস্যা হলে কি কি সমস্যা হয়, যেমন তীব্র ব্যথা কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের সাথে যুক্ত, অথবা নিস্তেজ ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের সাথে। এটি পেশী ব্যথার থেকে ভিন্ন, যা চলাচলের সাথে পরিবর্তনশীল হয়। কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়, এবং এর প্রকৃতি অনেক সময় গভীর এবং অস্বস্তিকর হয়, যা পিঠের সাধারণ ব্যথার থেকে আলাদা।

কিডনির ব্যথার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য লক্ষণ
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় কোথায় ব্যথা হয়, এর সাথে অন্যান্য উপসর্গ যেমন শরীরে পানি জমা বা ফোলাভাব, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, দুর্বলতা বা ক্লান্তি, ক্ষুধামন্দা, প্রস্রাবের পরিমাণ পরিবর্তন (খুব বেশি বা কম), প্রস্রাবে রক্ত দেখা যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, পায়ে বা গোড়ালিতে ফোলাভাব দেখা দিতে পারে। জ্বর, ঘন ঘন প্রস্রাব, মেঘলা বা রক্তাক্ত প্রস্রাবও সাধারণ। কিডনির সমস্যা হলে কি কি সমস্যা হয়, যেমন প্রস্রাবে দুর্গন্ধ বা রক্ত, অরুচি, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি। আরও লক্ষণ হলো ঠান্ডা লাগা, অস্বস্তি, পা ফুলে যাওয়া, এবং প্রস্রাবের সময় ব্যথা। কিডনির সমস্যা হলে কোথায় ব্যথা হয়, এবং যদি জ্বর বা বমি সাথে থাকে তাহলে সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।
কিডনির সমস্যার কারণ
কিডনির সমস্যা হলে কোথায় ব্যথা হয়, এর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কিডনির পাথর (খনিজ এবং লবণের শক্ত জমা), মূত্রনালীর সংক্রমণ (ইউটিআই বা পাইলোনেফ্রাইটিস), পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ (PKD), কিডনি ট্রমা বা আঘাত, পানিশূন্যতা, অবরোধ, দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, সংক্রমণ, ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত সেবন, পরিবারে কিডনি অসুখের ইতিহাস, হার্টের সমস্যা, স্ট্রোক, অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান ইত্যাদি। কিডনির সমস্যা হলে কি কি সমস্যা হয়, যেমন কিডনি টিউমার, হাইড্রোনেফ্রোসিস, গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস ইত্যাদি। আরও কারণ হলো জেনেটিক মিউটেশন, অটোইম্মিউন রোগ, এবং মূত্রনালীর বাধা।
কিডনির সমস্যা হলে কি করতে হবে?
কিডনির সমস্যা হলে প্রাথমিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো, তবে মনে রাখবেন, সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে:
লক্ষণগুলো চিহ্নিত করুন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন
কিডনির সমস্যার লক্ষণগুলো প্রথমে সূক্ষ্ম হতে পারে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
- প্রস্রাবের পরিবর্তন: প্রস্রাব কম হওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, প্রস্রাবে ফেনা বা বুদবুদ দেখা যাওয়া (প্রোটিন লিকেজের কারণে), প্রস্রাবে রক্ত মিশে যাওয়া (হেমাটুরিয়া), বা প্রস্রাবের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া।
- শরীরে ফোলা: পা, গোড়ালি, হাত, মুখ বা চোখের চারপাশে ফোলা (এডিমা) দেখা যাওয়া, যা কিডনির ফিল্টারিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে ঘটে।
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা: অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা) হওয়ার কারণে ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।
- ব্যথা: পিঠের নিচের দিকে বা পাশে ব্যথা (যেমন কিডনি স্টোন বা ইনফেকশনের কারণে)।
- অন্যান্য: উচ্চ রক্তচাপ, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, ত্বকের চুলকানি, বা ঘুমের সমস্যা।
যদি এই লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা যায়, তাহলে দ্রুত একজন নেফ্রোলজিস্ট (কিডনি বিশেষজ্ঞ) বা ইউরোলজিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয়। যদি সমস্যা গুরুতর হয়, যেমন অ্যাকিউট কিডনি ইনজুরি (AKI) বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (CKD), তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
পরীক্ষা এবং নির্ণয়
কিডনির সমস্যা নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। এগুলোর মধ্যে:
- রক্ত পরীক্ষা: ক্রিয়েটিনিন, ব্লাড ইউরিয়া নাইট্রোজেন (BUN), গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট (GFR) পরীক্ষা করে কিডনির কার্যক্ষমতা মাপা হয়। GFR 60-এর নিচে হলে CKD-এর সম্ভাবনা থাকে।
- প্রস্রাব পরীক্ষা: ইউরিন অ্যালবুমিন-টু-ক্রিয়েটিনিন রেশিও (ACR), প্রোটিন লেভেল, বা মাইক্রোঅ্যালবুমিনুরিয়া পরীক্ষা করে প্রোটিন লিকেজ চেক করা হয়। এছাড়া, প্রস্রাবের কালচার করে ইনফেকশন ধরা পড়ে।
- ইমেজিং পরীক্ষা: আল্ট্রাসাউন্ড (কিডনির আকার, পাথর বা টিউমার দেখার জন্য), সিটি স্ক্যান বা এমআরআই (বিস্তারিত ছবি পাওয়ার জন্য), বা আইভিপি (ইনট্রাভেনাস পাইলোগ্রাম)।
- বায়োপসি: প্রয়োজনে কিডনির টিস্যু স্যাম্পল নেয়া হয় যাতে মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষা করে রোগের কারণ বোঝা যায়।
এই পরীক্ষাগুলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করান। নিয়মিত স্ক্রিনিং (যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বছরে একবার) কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ
খাদ্যাভ্যাস কিডনির স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিডনির সমস্যায় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ না করলে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
- লবণ (সোডিয়াম) কম খান: দৈনিক 2,300 মিলিগ্রামের নিচে রাখুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিপস, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ফোলা কমে।
- প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির উপর চাপ দেয়। দৈনিক 0.8 গ্রাম/কেজি শরীরের ওজন অনুযায়ী খান। উদাহরণস্বরূপ, মাংস, ডিম, দুধ কমিয়ে সবজি-ভিত্তিক প্রোটিন (যেমন ডাল, ছোলা) বাড়ান। ডায়ালিসিস রোগীদের জন্য প্রোটিন বাড়ানো হতে পারে, তাই ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন।
- পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত পটাশিয়াম হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কলা, কমলা, আলু, টমেটো, অ্যাভোকাডো কম খান। পরিবর্তে আপেল, বেরি, গাজর বেছে নিন।
- ফসফরাস কমান: দুধ, চিজ, নাটস, কোলা ড্রিঙ্কসে ফসফরাস বেশি। এতে হাড়ের সমস্যা হতে পারে। ফসফরাস-বাইন্ডার ওষুধ ডাক্তার দিতে পারেন।
- পানি এবং তরল পদার্থ: দৈনিক 2-3 লিটার পানি পান করুন, তবে কিডনি ফেইলিওরে পানির পরিমাণ সীমিত করতে হয় (যেমন 1-1.5 লিটার)। চা, কফি, জুস সতর্কতার সাথে খান।
- অন্যান্য: চর্বি কমান (স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়ান), ফাইবার বাড়ান (সবজি, ফল), এবং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে রাখুন যাতে ওজন না বাড়ে।
একজন ডায়েটিশিয়ানের সাথে কনসাল্ট করে ব্যক্তিগত খাদ্যচার্ট তৈরি করুন।
জীবনযাত্রার পরিবর্তন
কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় জীবনযাত্রা পরিবর্তন অপরিহার্য।
- ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন: ধূমপান রক্তনালী সংকুচিত করে কিডনির ক্ষতি করে। মদ্যপান কিডনির ফিল্টারিং কমিয়ে দেয়।
- ব্যায়াম: নিয়মিত হালকা ব্যায়াম, যেমন হাঁটা, সাঁতার, যোগা (সপ্তাহে 150 মিনিট)। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়ান, বিশেষ করে যদি অ্যানিমিয়া থাকে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়, যা কিডনির শত্রু। BMI 18.5-24.9-এর মধ্যে রাখুন।
- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: রক্তচাপ 130/80-এর নিচে রাখুন। ডায়াবেটিসে HbA1c 7%-এর নিচে রাখুন। নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন।
- স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট: মেডিটেশন, ঘুম (7-8 ঘণ্টা), বা হবি করে স্ট্রেস কমান, কারণ স্ট্রেস রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
- পরিবেশগত সতর্কতা: রাসায়নিক, ভারী ধাতু (যেমন লেড) এড়ান। পানির গুণমান চেক করুন।
ওষুধ এবং চিকিৎসা সতর্কতা
- এড়িয়ে চলুন: NSAID-এর মতো ব্যথানাশক (আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রক্সেন, অ্যাসপিরিন) কিডনির ক্ষতি করে। অ্যান্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ওষুধ শুধুমাত্র ডাক্তারের পরামর্শে খান।
- চিকিৎসা পদ্ধতি: CKD-এর প্রথম ধাপে ওষুধ (যেমন ACE ইনহিবিটরস রক্তচাপের জন্য), ডায়ালিসিস (হেমোডায়ালিসিস বা পেরিটোনিয়াল), বা কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট। ইনফেকশনে অ্যান্টিবায়োটিক, পাথরে সার্জারি বা লিথোট্রিপসি।
- হোম রেমেডি: ঘরোয়া চিকিৎসা যেমন লেবু পানি, তুলসী চা সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন, কিন্তু অপ্রমাণিত ভেষজ এড়ান।

নিয়মিত ফলোআপ এবং প্রতিরোধ
- কিডনির সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি, তাই মাসে একবার বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করান।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, নিয়মিত স্ক্রিনিং, এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের (যেমন ডায়াবেটিস রোগী, বয়স্ক) জন্য বিশেষ সতর্কতা।
- যদি পরিবারে কিডনির রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে জেনেটিক কাউন্সেলিং করুন।
সতর্কতা: কিডনির সমস্যা গুরুতর হলে ডায়ালিসিস বা ট্রান্সপ্লান্টের প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ইন্টারনেটের তথ্যের উপর নির্ভর না করে ডাক্তার এবং ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নিন।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উত্তরা বা বনানী শাখায় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে +8801774678604 নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ পেইন কিউর
বিস্তারিত জানুন: পিঠে ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ জানুন!!
বিস্তারিত জানুন: গর্ভাবস্থায় কোমর ব্যথার কারণ এবং এটি হলে করণীয় কি?
বিস্তারিত জানুন: সহবাসের পর কোমর ব্যথা এবং সহবাসের পর ব্যথা হলে করণীয় কি?
বিস্তারিত জানুন: কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় ব্যায়াম
সাধারণ জিজ্ঞাসা
কিডনি টেস্ট করতে কত টাকা লাগে?
কিডনি টেস্টের খরচ (যেমন ক্রিয়েটিনিন, BUN বা কিডনি ফাংশন টেস্ট) বাংলাদেশে ল্যাব ও পরীক্ষার ধরনভেদে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা হতে পারে। সরকারি হাসপাতালে এটি সাধারণত ৫০-১০০ টাকায় হয়, যেখানে বেসরকারি ল্যাবে ক্রিয়েটিনিন টেস্ট ৪০০ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। সম্পূর্ণ প্যানেল টেস্টের খরচ ৮০০-১৫০০ টাকা হতে পারে, তাই স্থানীয় ল্যাবে যাচাই করুন।
কি খেলে কিডনির পাথর বের হবে?
কিডনির পাথর বের হতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা জরুরি, বিশেষত দিনে ২-৩ লিটার। লেবুর রস বা সাইট্রাস ফলের জুস পাথর গলতে সাহায্য করতে পারে। তুলসী পাতার রস বা আপেল সিডার ভিনেগারের পানীয়ও উপকারী হতে পারে। তবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত।

Dr. Saiful Islam, PT, is a Consultant Physiotherapist with expertise in Orthopedics. He holds a BPT from Dhaka University, an MPT, and a Postgraduate Certification in Acupuncture from India, with specialized training in Ozone Therapy.


