আপনি কি প্রায়ই আপনার কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণে অস্বস্তিতে ভোগেন? এই ধরনের ব্যথা দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে এবং এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। অনেক সময় আমরা এই ব্যথাকে অবহেলা করি, কিন্তু এটি কোনো অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এই ব্লগে আমরা কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি এবং এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করব। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যার সম্ভাব্য কারণগুলো কী কী এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

কোমর ব্যথা কি
কোমর ব্যথা, যা লো ব্যাক পেইন (Low back pain) নামেও পরিচিত, একটি খুব সাধারণ সমস্যা যা যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। এটি মেরুদণ্ডের নিচের অংশে, অর্থাৎ কোমরের হাড়, মাংসপেশি, ডিস্ক এবং স্নায়ুতে সৃষ্ট ব্যথাকে বোঝায়। এই ব্যথা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে এবং হঠাৎ শুরু হয়ে অল্প সময়ের জন্য থাকতে পারে (অ্যাকিউট) অথবা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে (ক্রনিক)। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ভারী কিছু তোলা, ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো, বা আঘাত লাগার কারণে মাংসপেশি বা লিগামেন্টে টান লাগলে এই ব্যথা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি আর্থ্রাইটিস, ডিস্ক প্রলাপস বা অন্য কোনো গুরুতর রোগের লক্ষণও হতে পারে।
কোমর ব্যথা কি কারনে হয়
কোমর ব্যথা কি কারণে হয়, এর পেছনে অসংখ্য কারণ থাকতে পারে, যা দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘক্ষণ এক ভঙ্গিতে বসে থাকা, বিশেষত কম্পিউটার বা ডেস্কের সামনে, কোমর ব্যথার একটি প্রধান কারণ। এর ফলে পিঠের পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং মেরুদণ্ডের ওপর চাপ বাড়ে। ভুলভাবে ভারী জিনিস তোলা বা হঠাৎ করে বাঁক নেওয়াও মাংসপেশি এবং লিগামেন্টে টান সৃষ্টি করে তীব্র ব্যথার কারণ হতে পারে।
এছাড়াও, কোমর ব্যথা কি কারণে হয়, তার কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক কারণও আছে। যেমন, মেরুদণ্ডের ডিস্কের সমস্যা। আমাদের মেরুদণ্ডের কশেরুকাগুলির মাঝে জেলির মতো যে ডিস্ক থাকে, তা যদি কোনো কারণে সরে যায় (স্লিপ ডিস্ক বা হার্নিয়েটেড ডিস্ক), তাহলে তা স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে অসহনীয় ব্যথা সৃষ্টি করে। আর্থ্রাইটিস বা বাতের মতো রোগ, যা হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ সৃষ্টি করে, সেটিও কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। বয়স্কদের মধ্যে স্পাইনাল স্টেনোসিস, অর্থাৎ মেরুদণ্ডের ক্যানেল সরু হয়ে যাওয়া, যা স্নায়ুর ওপর চাপ দেয়, তাও একটি সাধারণ কারণ।
জীবনযাত্রার ধরনও কোমর ব্যথা কি কারণে হয়, তার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, এবং অতিরিক্ত ওজন কোমর ও মেরুদণ্ডের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ধূমপানও একটি পরোক্ষ কারণ, কারণ এটি মেরুদণ্ডের ডিস্কের রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয় এবং সুস্থ কোষের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। কিছু ক্ষেত্রে, কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণ, এমনকি ফাইব্রোমায়ালজিয়ার মতো স্নায়ু সম্পর্কিত রোগও কোমরে ব্যথার কারণ হতে পারে।
কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি
কোমরের দুই পাশে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। এই ব্যথা শারীরিক আঘাত থেকে শুরু করে গুরুতর চিকিৎসা অবস্থা পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি এবং কেন এটি হয় তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যাতে সঠিক চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। নিম্নে এই ব্যথার প্রধান কারণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:
পেশী বা টেন্ডন আঘাত
কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি জানতে চাইলে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় পেশী বা টেন্ডনের আঘাত। এটি কোমর ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ। হঠাৎ বাঁকানো, মোচড়ানো, বা ভারী বস্তু উত্তোলনের ফলে পেশী বা টেন্ডনে টান পড়তে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ভুলভাবে ভারী জিনিস তোলা বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে পেশীতে মাইক্রো-টিয়ার বা ছিঁড়ে যাওয়া হতে পারে, যা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার কারণ হয়। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে কমে যায়, তবে সঠিক বিশ্রাম না নিলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

ডিস্ক প্রল্যাপস
মেরুদণ্ডের ডিস্ক প্রল্যাপস বা হার্নিয়েটেড ডিস্ক কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা ব্যাখ্যা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই অবস্থায় মেরুদণ্ডের ডিস্কের নরম অংশ বেরিয়ে এসে স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে। ফলে তীব্র ব্যথা, অসাড়তা, বা শিরশিরে অনুভূতি হয়, যা কোমর থেকে পা পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি সাধারণত দীর্ঘসময় একই অবস্থানে বসে থাকা, ভারী উত্তোলন, বা দুর্ঘটনার ফলে হতে পারে।
অস্টিওপোরোসিস
অস্টিওপোরোসিস হল এমন একটি অবস্থা যেখানে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়ে যায়। এটি কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা বোঝার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। মেরুদণ্ডের হাড়ে ফাটল বা ভাঙনের ফলে এই ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে। মহিলাদের মধ্যে মেনোপজের পর এই ঝুঁকি বেশি থাকে কারণ হরমোনের পরিবর্তন হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। এই অবস্থায় হালকা আঘাতেও হাড় ভেঙে যেতে পারে, যা তীব্র ব্যথার কারণ হয়।

ক্যান্সার
ক্যান্সার কোমরের দুই পাশে ব্যথার একটি গুরুতর কারণ হতে পারে। মেরুদণ্ড, লিম্ফ নোড, বা অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়লে এই ব্যথা দেখা দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, মেরুদণ্ডের টিউমার বা মেটাস্ট্যাটিক ক্যান্সার স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী এবং রাতে বেশি তীব্র হয়। এটি অন্যান্য উপসর্গ যেমন ওজন হ্রাস, জ্বর, বা ক্লান্তির সাথে থাকতে পারে।
অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা
কোমরের দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা খুঁজতে গিয়ে অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থাও বিবেচনা করা প্রয়োজন। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সিন্ড্রোম, মূত্রনালীর সংক্রমণ, কিডনির সমস্যা (যেমন কিডনি স্টোন বা সংক্রমণ), বা গুরুতর সংক্রমণ যেমন স্পন্ডাইলাইটিস কোমরে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, আর্থ্রাইটিস, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, বা অন্ত্রের সমস্যা যেমন ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (IBS) এর ফলেও ব্যথা ছড়িয়ে কোমরে পৌঁছাতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা
যদিও গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সাথে কোমরের দুই পাশে ব্যথার সরাসরি বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নেই, তবে কিছু মানুষ মনে করেন যে গ্যাস্ট্রিক বা পেটের সমস্যা এই ব্যথার কারণ হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের কারণে পেটে ব্যথা হয়, যা কখনও কখনও কোমরের দুই পাশে ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি হতে পারে গ্যাস জমা, পেট ফাঁপা, বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের কারণে। তবে, এই ধরনের ব্যথা সাধারণত অন্যান্য গ্যাস্ট্রিক উপসর্গ যেমন বুকজ্বালা বা বমি ভাবের সাথে থাকে।
কোমরের দুই পাশে ব্যথার উপসর্গ
কোমরের দুই পাশে ব্যথার সাথে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যা ব্যথার কারণ নির্ধারণে সাহায্য করে। এই উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- কোমর বা পায়ে তীব্র বা নিস্তেজ ব্যথা
- অসাড়তা বা শিরশিরে অনুভূতি
- পেশী বা জয়েন্টে ফোলাভাব
- পায়ের দুর্বলতা বা শক্তি হ্রাস
- জ্বর (বিশেষ করে সংক্রমণের ক্ষেত্রে)
- হাঁটতে বা বসতে অসুবিধা
- দীর্ঘসময় একই অবস্থানে থাকলে ব্যথা বৃদ্ধি
কোমরের উপরে দুই পাশে ব্যথার কারণ
কোমরের উপরে দুই পাশে ব্যথার কারণ বিভিন্ন শারীরিক এবং চিকিৎসাগত অবস্থার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যা প্রায়শই মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বা স্বাস্থ্য সমস্যার ফলে উদ্ভূত হয়। এই ব্যথার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাংসপেশির টান, লিগামেন্টের আঘাত, বা মেরুদণ্ডের গঠনগত সমস্যা, যেমন স্পন্ডিলোসিস বা ডিস্ক হার্নিয়েশন। দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকা, ভুল ভঙ্গিতে কাজ করা, বা ভারী জিনিস অসাবধানে তোলার ফলে মাংসপেশি এবং জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা কোমরের উপরে দুই পাশে ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কিডনি স্টোন, ইনফেকশন, বা পাইলোনেফ্রাইটিসও এই ধরনের ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে। কখনো কখনো, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, যেমন সায়াটিকা, বা অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন ফুসফুস বা পিত্তথলির সমস্যাও এই ব্যথার কারণ হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা এবং সময়কালের উপর নির্ভর করে এটি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই, সঠিক কারণ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোমরের উপরে দুই পাশে ব্যথার কারণ সনাক্ত করতে ডাক্তার সাধারণত রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা, শারীরিক পরীক্ষা, এবং প্রয়োজনে এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, বা রক্ত পরীক্ষার মতো ডায়াগনস্টিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন।

কোমরের নিচে দুই পাশে ব্যথার কারণ কি
কোমরের নিচে দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা বোঝার জন্য বিভিন্ন শারীরিক, জীবনযাত্রাগত এবং চিকিৎসাগত দিক বিবেচনা করা প্রয়োজন। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত মাংসপেশির টান, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, বা মেরুদণ্ডের গঠনগত অস্বাভাবিকতা, যেমন স্লিপ ডিস্ক, হার্নিয়েটেড ডিস্ক, বা সায়াটিকা থেকে হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকা, ভুল ভঙ্গিতে কাজ করা, ভারী জিনিস তোলা, বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমের ফলে মাংসপেশি, লিগামেন্ট, বা জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা কোমরের নিচে দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা ব্যাখ্যা করতে পারে। এছাড়া, কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কিডনি স্টোন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, বা পাইলোনেফ্রাইটিসও এই ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে। নারীদের ক্ষেত্রে, জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের সমস্যা, যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস বা পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ, এই ব্যথার কারণ হতে পারে। পুরুষদের ক্ষেত্রে, প্রোস্টেট সংক্রান্ত সমস্যাও বিবেচনাযোগ্য। কোমরের নিচে দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা নির্ণয়ের জন্য অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ যেমন আর্থ্রাইটিস, স্পন্ডিলোলিস্থেসিস, বা পেটের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন অ্যাপেন্ডিক্স বা অন্ত্রের সমস্যাও বিবেচনা করা উচিত। এই ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং এর তীব্রতা বা ধরন ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, চিকিৎসকরা রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস পর্যালোচনা, শারীরিক পরীক্ষা, এবং প্রয়োজনে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা যেমন এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, বা আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে কোমরের নিচে দুই পাশে ব্যথার কারণ কি তা নির্ধারণ করেন। ব্যথা প্রতিরোধে নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি ব্যথা তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত যাতে সম্ভাব্য গুরুতর সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উত্তরা বা বনানী শাখায় সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে +8801774678604 নম্বরে যোগাযোগ করুন।
আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ পেইন কিউর
বিস্তারিত জানুন: ফ্রোজেন শোল্ডার এর ব্যায়াম এবং ফ্রোজেন শোল্ডার এর চিকিৎসা
বিস্তারিত জানুন: পিঠে ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ জানুন!!
সাধারণ জিজ্ঞাসা
কি খেলে কোমর ব্যথা কমে?
কোমর ব্যথা কমাতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন: মাছ, আখরোট), ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার (দুধ, ডিম, সবুজ শাকসবজি) এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার (হলুদ, আদা) খাওয়া উপকারী। পর্যাপ্ত পানি পান করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়ানো জরুরি।
কোমর ব্যথা হলে কোন ধরনের ডাক্তার দেখা উচিত?
কোমর ব্যথার জন্য প্রথমে একজন অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ বা ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ (Physiatrist) এর কাছে যাওয়া উচিত, যিনি ব্যথার কারণ নির্ণয় করবেন। তারা প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন, যা পেশি শক্তিশালীকরণ এবং ব্যথা কমাতে কার্যকর। গুরুতর ক্ষেত্রে নিউরোলজিস্ট বা স্পাইন সার্জন এর পরামর্শও লাগতে পারে।
কোমর ব্যথার ওষুধের নাম কি?
কোমর ব্যথার জন্য ওষুধের নাম চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দেওয়া ঠিক নয়, কারণ ব্যথার কারণের ওপর নির্ভর করে ওষুধ ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল বা NSAIDs (যেমন আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রক্সেন) এবং পেশি শিথিল করতে মায়োরিলাক্সান্ট (যেমন টিজানিডিন) দেওয়া হতে পারে। তবে, ফিজিওথেরাপি এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এটি পেশির শক্তি বাড়ায়, ভঙ্গি সংশোধন করে এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Dr. Saiful Islam, PT, is a Consultant Physiotherapist with expertise in Orthopedics. He holds a BPT from Dhaka University, an MPT, and a Postgraduate Certification in Acupuncture from India, with specialized training in Ozone Therapy.



