পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ গুলো কি কি জেনে নিন!!

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ গুলো কি কি জেনে নিন!!

পিঠের বাম পাশে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। এই ব্যথা হালকা থেকে তীব্র হতে পারে এবং এর কারণে দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক সময় এই ব্যথা নিজে থেকেই সেরে যায়, আবার কখনো কখনো এটি গুরুতর কোনো সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের ব্যথা কেন হয়? এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আঘাত, পেশীর টান, হাড়ের সমস্যা, এমনকি শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যার কারণেও এই ব্যথা হতে পারে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্য হলো আপনাকে এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা দেওয়া, যাতে আপনি বুঝতে পারেন কখন এই ব্যথা সাধারণ এবং কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

পিঠের বাম পাশে নিচের দিকে ব্যথা কেন হয়

পিঠের বাম পাশে নিচের দিকে ব্যথা কেন হয়?

পিঠের বাম পাশে নিচের দিকে ব্যথা কেন হয়, এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। এই ব্যথার পেছনে প্রায়শই পেশির টান, ভুল ভঙ্গি, বা শারীরিক আঘাতের মতো কারণ থাকে। দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে বসে থাকা, ভারী জিনিস ভুলভাবে তোলা, বা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম পেশি বা লিগামেন্টে চাপ সৃষ্টি করে, যা পিঠের বাম পাশে নিচের দিকে ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া, মেরুদণ্ডের সমস্যা যেমন হার্নিয়েটেড ডিস্ক বা সায়াটিকা এই ব্যথাকে আরও তীব্র করতে পারে। সায়াটিকার ক্ষেত্রে, স্নায়ুর উপর চাপ পড়লে ব্যথা পিঠ থেকে নিতম্ব এবং পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত ওজন, দুর্বল কোর পেশি, বা নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবও এই ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়। 

অনেক সময় পিঠের বাম পাশে নিচের দিকে ব্যথা অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যার কারণেও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিডনি সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, বা ইউরিনারি ট্র্যাক্টের সমস্যা এই ব্যথার জন্য দায়ী হতে পারে, যার সাথে জ্বর, প্রস্রাবে অসুবিধা, বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে, গাইনোকোলজিকাল সমস্যা যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস বা ওভারিয়ান সিস্টও এই ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া, প্যানক্রিয়াটাইটিস বা পেটের অন্যান্য সমস্যা কখনও কখনও পিঠে ব্যথা হিসেবে প্রকাশ পায়। সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তীব্রতা বাড়ে, বা জ্বর, ওজন হ্রাস, বা অসাড়তার মতো উপসর্গের সাথে থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। 

পিঠের বাম পাশে উপরে ব্যথার কারণ

পিঠের বাম পাশে উপরে ব্যথার কারণ

পিঠের বাম পাশে উপরে ব্যথার কারণ বিভিন্ন শারীরিক এবং জীবনযাত্রাগত বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যা অনেকের কাছে একটি সাধারণ সমস্যা। এই ধরনের ব্যথা প্রায়শই পেশির টান, দুর্বল ভঙ্গি, বা দীর্ঘক্ষণ একই অবস্থানে কাজ করার ফলে হয়। উদাহরণস্বরূপ, কম্পিউটারের সামনে ঝুঁকে বসে থাকা, ভুলভাবে ভারী বস্তু তোলা, বা অসমান বিছানায় ঘুমানোর কারণে পিঠের উপরের পেশি বা লিগামেন্টে চাপ পড়ে, যা ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া, মেরুদণ্ডের সমস্যা যেমন ডিস্ক স্লিপেজ, স্পন্ডিলোসিস, বা স্কোলিওসিসও পিঠের বাম পাশে উপরে ব্যথার কারণ হতে পারে। কাঁধের আঘাত বা স্নায়ুর চাপ, যেমন সার্ভিকাল রেডিকুলোপ্যাথি, ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। নিয়মিত ব্যায়ামের অভাব, দুর্বল কোর পেশি, বা অতিরিক্ত ওজনও এই ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়। 

কখনও কখনও পিঠের বাম পাশে উপরে ব্যথার কারণ অভ্যন্তরীণ অঙ্গের সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ফুসফুসের সমস্যা যেমন নিউমোনিয়া বা প্লুরিসি, হৃদপিণ্ডের সমস্যা যেমন এনজাইনা, বা পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস্ট্রাইটিস বা প্যানক্রিয়াটাইটিস এই ধরনের ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ব্যথার সাথে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, বা অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মানসিক চাপ বা উদ্বেগও পেশির টান বাড়িয়ে এই ব্যথার কারণ হতে পারে। 

পিঠের বাম পাশে জ্বালাপোড়া এবং চিন চিন ব্যাথার কারণ

পিঠের বাম পাশে জ্বালাপোড়া এবং চিন চিন ব্যাথার কারণ

পিঠের বাম পাশে জ্বালাপোড়া এবং চিন চিন ব্যাথার কারণ বিভিন্ন শারীরিক বা স্নায়বিক সমস্যার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যা অনেকের জন্য উদ্বেগের বিষয়। পিঠের বাম পাশে চিন চিন ব্যাথা এবং পিঠের বাম পাশে জ্বালাপোড়া প্রায়শই স্নায়ুর উপর চাপ বা জ্বালা থেকে উদ্ভূত হয়, যেমন সায়াটিকা বা সার্ভিকাল রেডিকুলোপ্যাথি, যেখানে মেরুদণ্ডের স্নায়ুতে চাপ পড়লে এই ধরনের সংবেদন হয়। এছাড়া, হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্পাইনাল স্টেনোসিস, বা পেশির প্রদাহও এই উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ভুল ভঙ্গিতে বসা, পেশির টান, বা আঘাতের কারণেও এই জ্বালাপোড়া বা চিন চিন অনুভূতি হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, অভ্যন্তরীণ সমস্যা যেমন কিডনি সংক্রমণ, শিঙ্গলস (হারপিস জোস্টার), বা ফুসফুসের সমস্যা এই ধরনের ব্যথার কারণ হতে পারে। সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, বিশেষ করে যদি ব্যথার সাথে জ্বর, অসাড়তা, বা দুর্বলতা থাকে। 

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ নিচে দেওয়া হল, চলুন দেরি না করে জেনে নিই –  

১. পেশীর স্ট্রেইন বা মচকে যাওয়া

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ প্রায়শই পেশীর স্ট্রেইন বা মচকে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, ভুলভাবে ভারী জিনিস তোলা, বা দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিতে বসে থাকার কারণে পিঠের পেশী বা লিগামেন্টে টান পড়তে পারে। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত স্থানীয় হয় এবং বিশ্রাম, হিট থেরাপি, বা হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে উপশম হতে পারে। তবে, যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এটি পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ হিসেবে অন্য কোনো সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

২. নিতম্ববেদনা (সায়াটিকা)

সায়াটিকা একটি সাধারণ কারণ, যা পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ হিসেবে পরিচিত। এটি সায়াটিক স্নায়ুর উপর চাপ বা জ্বালার কারণে হয়, যা সাধারণত মেরুদণ্ডের নিম্নাংশ থেকে পা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অবস্থায় ব্যথা পিঠের বাম পাশ থেকে নিতম্ব এবং পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সাথে ঝিনঝিন বা জ্বালাপোড়ার মতো সংবেদন হতে পারে। হার্নিয়েটেড ডিস্ক বা স্পাইনাল স্টেনোসিস এই সমস্যার কারণ হতে পারে। ফিজিওথেরাপি এই ব্যথা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

কিডনির সমস্যা

৩. কিডনির সমস্যা

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ কিডনি সংক্রমণ বা কিডনিতে পাথরের মতো সমস্যার সাথেও সম্পর্কিত হতে পারে। বাম কিডনি শরীরের বাম পাশে অবস্থিত, তাই এর সংক্রমণ বা পাথর বাম পিঠে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যথার সাথে প্রায়শই জ্বর, প্রস্রাবে সমস্যা, বা রক্তের উপস্থিতি দেখা যায়। এই ধরনের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি, কারণ কিডনির সমস্যা গুরুতর হতে পারে।

৪. অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা

অগ্ন্যাশয়ের প্রদাহ বা প্যানক্রিয়াটাইটিস পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত পেট থেকে পিঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং খাওয়ার পরে আরও তীব্র হতে পারে। প্যানক্রিয়াটাইটিসের সাথে বমি বমি ভাব, জ্বর, বা পেটে ব্যথার মতো উপসর্গও থাকতে পারে। এই অবস্থার সঠিক নির্ণয়ের জন্য আল্ট্রাসাউন্ড বা সিটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা প্রয়োজন।

৫. হৃদরোগ

কিছু ক্ষেত্রে, পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ হৃদরোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যথা বুকে ছড়িয়ে পড়ে বা শ্বাসকষ্ট, ঘাম, বা অস্থিরতার সাথে থাকে। হার্ট অ্যাটাক বা এনজাইনার মতো অবস্থায় বুকের ব্যথা পিঠের বাম পাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই ধরনের ব্যথা হঠাৎ শুরু হতে পারে এবং তীব্র হতে পারে। যদি এই উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তবে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ্যাস, বদহজম, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য

৬. গ্যাস, বদহজম, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ কখনও কখনও হজমজনিত সমস্যা যেমন গ্যাস, বদহজম, বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে সম্পর্কিত। অতিরিক্ত গ্যাস অন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা পিঠের বাম পাশে অস্বস্তি বা ব্যথা হিসেবে প্রকাশ পায়। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত হালকা এবং অস্থায়ী হয়, এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বা ওভার-দ্য-কাউন্টার ওষুধের মাধ্যমে উপশম হতে পারে। তবে, যদি ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী বা অন্যান্য উপসর্গের সাথে থাকে, তবে এটি আরও গুরুতর সমস্যা হতে পারে।

৭. অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ আরও বিভিন্ন হতে পারে, যেমন:

  • মেরুদণ্ডের সমস্যা: স্কোলিওসিস, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, বা ডিস্ক প্রোল্যাপ্সের কারণে ব্যথা হতে পারে। এই অবস্থাগুলো মেরুদণ্ডের গঠন বা স্নায়ুর উপর চাপের কারণে ব্যথা সৃষ্টি করে।
  • মায়োফেসিয়াল পেইন সিনড্রোম: পিঠের পেশীতে ট্রিগার পয়েন্টের কারণে ব্যথা হতে পারে, বিশেষ করে ট্রাপিজিয়াস পেশীতে।
  • শিঙ্গলস (হারপিস জোস্টার): এই ভাইরাল সংক্রমণ পিঠে জ্বালাপোড়া বা চিনচিন ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
  • মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী চাপ বা উদ্বেগ পেশীতে টান সৃষ্টি করে পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ হতে পারে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?

যদি পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ দীর্ঘস্থায়ী হয়, তীব্রতা বাড়ে, বা নিম্নলিখিত উপসর্গগুলোর সাথে থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত:

  • জ্বর বা ঠান্ডা লাগা
  • শ্বাসকষ্ট বা বুকে ব্যথা
  • প্রস্রাব বা মলত্যাগে সমস্যা
  • হাত-পায়ে ঝিনঝিন বা অসাড়তা
  • অজ্ঞান বা অস্থিরতার অনুভূতি

পেইন কিউরে (Pain Cure) চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

পেইন কিউরে (Pain Cure) চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

পিঠের বাম পাশে ব্যথার কারণ নির্ভর করে চিকিৎসা পরিবর্তিত হয়, এবং পেইন কিউর (Pain Cure), একটি আধুনিক ও বিশ্বস্ত পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার, এই ব্যথাসহ নানা শারীরিক ব্যথার জন্য উন্নত ফিজিওথেরাপি-ভিত্তিক চিকিৎসা প্রদান করে, যেমন ওজোন থেরাপি, ওজোন সওনা, ইলেক্ট্রো আকুপাংচার, আর-টি-এম-এস থেরাপি, ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি, টেকার থেরাপি, ক্রায়ো থেরাপি, শকওয়েভ থেরাপি এবং পালস ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড থেরাপি (PEMF), যা হালকা পেশী স্ট্রেইনের ক্ষেত্রে বিশ্রাম, হিট বা আইস থেরাপি এবং হালকা ব্যায়ামের সঙ্গে কার্যকর। এছাড়াও, ঘরোয়া ব্যায়াম এবং বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের পরামর্শের মাধ্যমে ব্যথা প্রতিরোধে সহায়তা করা হয়, যেখানে সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা, নিয়মিত ফিজিওথেরাপি-ভিত্তিক ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ, এবং পেইন কিউরের লক্ষ্য হল সবার কাছে ব্যথামুক্ত, সুস্থ ও সচেতন জীবনযাপনের বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য উত্তরা শাখায় +8801727177436 বা বনানী শাখায় +8801774678604 নম্বরে সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে যোগাযোগ করুন।

আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ পেইন কিউর

 

বিস্তারিত জানুন: পিঠের মাঝখানে ব্যথা কারণ এবং একটি বিস্তারিত গাইড লাইন

বিস্তারিত জানুন: হাতের কব্জি ব্যথা হয় কেন? এবং কব্জি ব্যথা কমানোর উপায়

বিস্তারিত জানুন: সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি

 

সাধারণ জিজ্ঞাসা

পিঠের ব্যথা সাধারণত পেশী স্ট্রেইন, ডিস্কের সমস্যা বা ভঙ্গির কারণে হয়, তবে বিরল ক্ষেত্রে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যথা ক্রমাগত, রাতে বাড়ে বা ওজন হ্রাস, জ্বরের মতো উপসর্গ থাকে। সঠিক নির্ণয়ের জন্য অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

পিঠের ব্যথা কিছু ক্ষেত্রে কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি ব্যথা পিঠের নিচের অংশে বা পাশে হয় এবং জ্বর, প্রস্রাবে সমস্যা বা রক্ত দেখা যায়। তবে, এটি পেশী স্ট্রেইন বা অন্য কারণেও হতে পারে। সঠিক নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পিঠের ব্যথার জন্য প্রায়শই ক্ষুদ্র পেশি যেমন মাল্টিফিডাস (Multifidus) বা কোয়াড্রেটাস লাম্বোরাম (Quadratus Lumborum) দায়ী হতে পারে। এই পেশিগুলো অতিরিক্ত চাপ, ভুল ভঙ্গি বা আঘাতের কারণে স্ট্রেইন হয়ে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *