হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এবং হাতের ব্যথা কেন হয় জানুন!!

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এবং হাতের ব্যথা কেন হয়? জানুন!!

হাতের কনুই ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমি নিজেও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি এবং জানি এটি কতটা বিরক্তিকর হতে পারে। কিন্তু সঠিক জ্ঞান, ব্যায়াম এবং যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা (পেইন কিউরের পেশেন্ট রিতু) এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

হাতের ব্যথা কেন হয়

হাতের ব্যথা কেন হয়?

হাতের ব্যথা কেন হয় তা অনেকেরই একটি সাধারণ প্রশ্ন। হাতের ব্যথা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। আঘাত, প্রদাহ, স্নায়ুর সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী রোগ, বা হাতের হাড় বা লিগামেন্টের সমস্যা থেকে ব্যথা হতে পারে। কিছু সাধারণ কারণের মধ্যে রয়েছে আঘাত, যেমন: মচকে যাওয়া বা ফ্র্যাকচার, সেই সাথে কারপাল টানেল সিনড্রোম বা আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থা। হাতের ব্যথা কেন হয় তা বোঝার জন্য এর কারণগুলো বিস্তারিতভাবে জানা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, হাতের ব্যথা কেন হয় তার মধ্যে অন্যতম কারণ হতে পারে আঘাত, যেমন খেলাধুলা বা দুর্ঘটনার কারণে হাতে চোট লাগা। এছাড়া, হাতে সংক্রমণ হলেও ব্যথা হতে পারে। প্রদাহও একটি বড় কারণ, যেমন টেনিস বা বেসবল খেলার মতো পুনরাবৃত্তিমূলক কার্যকলাপের কারণে কব্জির জয়েন্টে প্রদাহ হতে পারে। অস্টিওআর্থারাইটিসের মতো রোগে জয়েন্টগুলোতে প্রদাহ, ফোলাভাব এবং ব্যথা হতে পারে। এছাড়া, কারপাল টানেল সিনড্রোম একটি অবস্থা যেখানে হাতের প্রধান স্নায়ু সংকুচিত হয়, যার ফলে ব্যথা, অসাড়তা এবং ঝিনঝিন করে। টেন্ডোনাইটিস বা টেন্ডনের প্রদাহ এবং ডি কোয়ার্ভেইন টেনোসাইনোভাইটিসের মতো অবস্থাও হাতে ব্যথার কারণ হতে পারে, যা কব্জির একটি অবস্থা এবং বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ায় ব্যথা সৃষ্টি করে। হাতের ব্যথা কেন হয় তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে এবং চিকিৎসা পেতে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম শুধু ব্যথা কমায় না, বরং কনুইয়ের পেশি এবং টেন্ডনকে শক্তিশালী করে। আমি যখন প্রথম এই ব্যায়াম শুরু করি, তখন আমার মনে হয়েছিল এগুলো খুবই সাধারণ এবং হয়তো কাজ করবে না। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম করার পর আমি বুঝতে পারি, এটি আমার কনুইয়ের গতিশীলতা বাড়িয়েছে এবং ব্যথা অনেকাংশে কমিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম নিয়মিত করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, পেশি শক্তিশালী হয় এবং টেন্ডনের উপর চাপ কমে। তবে, এটি মনে রাখা জরুরি যে, ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন ডাক্তার বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আমি নিজেও প্রথমে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম এবং তিনি আমাকে কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়ামের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এর গাইডলাইন

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এর গাইডলাইন

এখন আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব কিছু সহজ এবং কার্যকরী হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম। এই ব্যায়ামগুলো আমি নিজে করে উপকার পেয়েছি । তবে, মনে রাখবেন, যদি ব্যায়াম করার সময় ব্যথা বাড়ে, তাহলে অবশ্যই থামতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

১. কব্জি স্ট্রেচিং (Wrist Stretching)

কব্জি স্ট্রেচিং হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি কনুইয়ের টেন্ডনের উপর চাপ কমায় এবং পেশি শিথিল করে। আমি যখন প্রথম এই ব্যায়াম শুরু করি, তখন আমার হাতে একটু অস্বস্তি হয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে এটি আমার জন্য খুবই আরামদায়ক হয়ে ওঠে।

কীভাবে করবেন:

আপনার একটি হাত সোজা করে সামনে প্রসারিত করুন, হাতের তালু নিচের দিকে রাখুন।

অন্য হাত দিয়ে আলতো করে আঙুলগুলো নিচের দিকে টানুন, যাতে কব্জিতে একটি স্ট্রেচ অনুভব হয়।

  • এই অবস্থায় ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে থাকুন।
  • একইভাবে, হাতের তালু উপরের দিকে রেখে আঙুলগুলো উপরের দিকে টানুন।
  • প্রতিটি হাতে ২-৩ বার করুন।

এই ব্যায়ামটি আমি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে করতাম। এটি আমার কনুইয়ের ব্যথা অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছিল।

২. কব্জি ফ্লেক্সর এবং এক্সটেনসর স্ট্রেংথেনিং (Wrist Flexor and Extensor Strengthening)

এই ব্যায়ামটি কনুইয়ের পেশি শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। আমি যখন এই ব্যায়াম শুরু করি, তখন আমি একটি হালকা ওজনের ডাম্বেল ব্যবহার করেছিলাম। তবে, আপনি যদি ডাম্বেল না পান, তাহলে একটি পানির বোতলও ব্যবহার করতে পারেন।

কীভাবে করবেন:

  • একটি হালকা ওজনের ডাম্বেল বা পানির বোতল হাতে নিন।
  • আপনার হাতটি একটি টেবিলের উপর রাখুন, যাতে কব্জি টেবিলের প্রান্তে থাকে এবং হাতের তালু উপরের দিকে থাকে।
  • ধীরে ধীরে কব্জি উপরের দিকে তুলুন এবং তারপর নিচে নামান।
  • ১০-১৫ বার করুন এবং ২-৩ সেট করুন।
  • একইভাবে, হাতের তালু নিচের দিকে রেখে কব্জি উপরের দিকে তুলুন।

এই ব্যায়ামটি আমার কনুইয়ের পেশি শক্তিশালী করতে অনেক সাহায্য করেছিল। আমি প্রথমে খুব হালকা ওজন দিয়ে শুরু করেছিলাম এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়িয়েছিলাম।

টাওয়েল টুইস্ট (Towel Twist)

৩. টাওয়েল টুইস্ট (Towel Twist)

টাওয়েল টুইস্ট একটি খুবই সহজ এবং কার্যকরী হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম। আমি এই ব্যায়ামটি প্রথমে হাস্যকর মনে করেছিলাম, কিন্তু এটি আমার কনুইয়ের ব্যথা কমাতে অসাধারণ কাজ করেছে।

কীভাবে করবেন:

  • একটি ছোট তোয়ালে নিন এবং এটি দুই হাত দিয়ে ধরুন।
  • তোয়ালেটি মোচড়ান, যেন আপনি এটি থেকে পানি বের করছেন।
  • এই মোচড়ানো প্রক্রিয়াটি ১০-১৫ বার করুন।
  • প্রতিটি দিকে (ডান এবং বাম) ২-৩ সেট করুন।

এই ব্যায়ামটি আমি প্রতিদিন টিভি দেখার সময় করতাম। এটি আমার জন্য খুবই সুবিধাজনক ছিল এবং আমার কনুইয়ের গতিশীলতা বাড়িয়েছিল।

৪. ফিস্ট ক্লেঞ্চ (Fist Clench)

ফিস্ট ক্লেঞ্চ একটি খুবই সহজ ব্যায়াম, যা হাতের পেশি এবং কনুইয়ের টেন্ডন শক্তিশালী করে। আমি এই ব্যায়ামটি অফিসে বসে বা গাড়িতে অপেক্ষা করার সময় করতাম।

কীভাবে করবেন:

  • একটি নরম বল বা তোয়ালে হাতে নিন।
  • হাতটি মুষ্টিবদ্ধ করে বলটি শক্ত করে চেপে ধরুন।
  • ১০ সেকেন্ড ধরে চেপে রাখুন এবং তারপর ছেড়ে দিন।
  • ১০-১৫ বার করুন এবং ২-৩ সেট করুন।

এই ব্যায়ামটি আমার হাতের গ্রিপ শক্তি বাড়িয়েছিল এবং কনুইয়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করেছিল।

৫. আইসোমেট্রিক কব্জি এক্সারসাইজ (Isometric Wrist Exercise)

আইসোমেট্রিক ব্যায়ামগুলো খুবই কার্যকরী, কারণ এগুলো পেশির উপর চাপ না দিয়ে শক্তি বাড়ায়। আমি যখন প্রথম এই ব্যায়াম শুরু করি, তখন আমার ব্যথা অনেক বেশি ছিল। তাই আমার ফিজিওথেরাপিস্ট আমাকে এই ব্যায়ামটি করতে বলেছিলেন।

কীভাবে করবেন:

  • আপনার হাতটি একটি টেবিলের উপর রাখুন, হাতের তালু উপরের দিকে।
  • অন্য হাত দিয়ে হাতের তালুতে হালকা চাপ দিন, যাতে কব্জি নড়তে না পারে।
  • এই অবস্থায় ১০ সেকেন্ড ধরে চাপ দিন এবং তারপর ছেড়ে দিন।
  • ১০-১৫ বার করুন এবং ২-৩ সেট করুন।

এই ব্যায়ামটি আমার জন্য খুবই উপকারী ছিল, কারণ এটি আমার পেশি শক্তিশালী করেছিল কিন্তু ব্যথা বাড়ায়নি।

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম করার সময় সতর্কতা

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম করার সময় সতর্কতা

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম করার সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি। আমি নিজে প্রথমে এই বিষয়ে খুব একটা সচেতন ছিলাম না, তাই কিছু ভুল করেছিলাম। তবে, আমার ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শে (ডাঃ সাইফুল ইসলাম ,পিটি) আমি এই বিষয়গুলো শিখেছি:

  • ব্যথা বাড়লে থামুন: যদি ব্যায়াম করার সময় ব্যথা বাড়ে, তাহলে অবশ্যই থামতে হবে। আমি একবার জোর করে ব্যায়াম করতে গিয়ে আমার ব্যথা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
  • ধীরে ধীরে শুরু করুন: প্রথমে হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন এবং ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়ান। আমি প্রথমে খুব বেশি ব্যায়াম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলাম।
  • ডাক্তারের পরামর্শ নিন: যদি আপনার ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তার বা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন। আমি এই বিষয়ে প্রথমে অবহেলা করেছিলাম, কিন্তু পরে বুঝতে পারি এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়ামে পেইন কিউরের পেশেন্ট রিতুর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা

আমি যখন প্রথম হাতের কনুই ব্যথার সম্মুখীন হই, তখন আমি ভেবেছিলাম এটি হয়তো কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা বাড়তে থাকে। আমি দৈনন্দিন কাজ, যেমন পানির বোতল খোলা, ব্যাগ তুলতে গিয়ে বা এমনকি দরজা খুলতে গিয়েও সমস্যায় পড়তাম। তখন আমি একজন ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যাই এবং তিনি আমাকে হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।

প্রথমে আমি নিয়মিত ব্যায়াম করতে অনেক অলসতা করতাম। কিন্তু যখন আমি দেখলাম যে, ব্যায়াম করার পর আমার ব্যথা কমছে এবং আমি আগের মতো কাজ করতে পারছি, তখন আমি নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করি। আমি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ১৫-২০ মিনিট সময় বের করে এই ব্যায়ামগুলো করতাম। এছাড়া, আমি আমার কাজের সময়ও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতাম, যেমন ভারী জিনিস না তোলা, কম্পিউটারে কাজ করার সময় হাতের সঠিক পজিশন বজায় রাখা ইত্যাদি।

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম ছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসা

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম ছাড়াও আরও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যা আমি ডাঃ সাইফুল ইসলাম ,পিটির কাছে থেকে জেনেছি।

১. আইস প্যাক ব্যবহার

আমি যখন প্রথম কনুই ব্যথার সম্মুখীন হই, তখন আমার ফিজিওথেরাপিস্ট আমাকে আইস প্যাক ব্যবহার করতে বলেছিলেন। এটি ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে খুবই কার্যকরী।

কীভাবে করবেন:

  • একটি আইস প্যাক বা বরফের টুকরো একটি পাতলা কাপড়ে মুড়ে নিন।
  • কনুইয়ের ব্যথার জায়গায় ১০-১৫ মিনিট ধরে রাখুন।
  • দিনে ২-৩ বার করুন।

এটি আমার জন্য খুবই আরামদায়ক ছিল এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করেছিল।

২. হিট থেরাপি

যখন আমার ব্যথা কিছুটা কমে আসে, তখন আমি হিট থেরাপি ব্যবহার করতাম। এটি পেশি শিথিল করতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।

কীভাবে করবেন:

  • একটি গরম পানির ব্যাগ বা গরম তোয়ালে নিন।
  • কনুইয়ের উপর ১০-১৫ মিনিট ধরে রাখুন।
  • দিনে ১-২ বার করুন।

এটি আমার জন্য খুবই আরামদায়ক ছিল, বিশেষ করে শীতের দিনে।

হাতের কনুই ব্যথা ফিজিওথেরাপি

৩. ফিজিওথেরাপি

আমি নিয়মিত একজন ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যেতাম। তিনি আমাকে বিভিন্ন হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম শিখিয়েছিলেন এবং আমার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতেন। ফিজিওথেরাপি আমার জন্য খুবই কার্যকরী ছিল এবং আমি এটি সবাইকে সুপারিশ করি।

৪. ওষুধ

আমার ব্যথা যখন খুব বেশি হয়ে যেত, তখন আমি ডাক্তারের পরামর্শে কিছু ব্যথানাশক ওষুধ খেয়েছিলাম। তবে, আমি এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবে ব্যবহার করিনি। আমি সবসময় হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসার উপর বেশি জোর দিয়েছি।

হাতের কনুই ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়

হাতের কনুই ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব, যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করি। আমি নিজে এই বিষয়ে অনেক অবহেলা করেছিলাম, কিন্তু এখন আমি সবসময় সতর্ক থাকি।

  • সঠিক পজিশন বজায় রাখুন: কম্পিউটারে কাজ করার সময় বা ভারী জিনিস তুলতে গিয়ে সঠিক পজিশন বজায় রাখুন। আমি এখন সবসময় আমার হাতের পজিশনের দিকে খেয়াল রাখি।
  • বিরতি নিন: দীর্ঘ সময় একই কাজ করলে বিরতি নিন। আমি এখন প্রতি ঘণ্টায় ৫ মিনিট বিরতি নিয়ে হাতের স্ট্রেচিং করি।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন: হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম নিয়মিত করলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমি এখনও প্রতিদিন এই ব্যায়ামগুলো করি, যাতে সমস্যা ফিরে না আসে।
  • ভারী জিনিস এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত ভারী জিনিস তুলতে গেলে কনুইয়ের উপর চাপ পড়ে। আমি এখন ভারী জিনিস তুলতে গেলে সাহায্য নিই।

হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এবং হাতের ব্যথা কেন হয়

উপসংহার

হাতের কনুই ব্যথা একটি বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে, কিন্তু সঠিক যত্ন এবং হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম এর মাধ্যমে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমি নিজে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি এবং জানি এটি কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম, সতর্কতা এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের মাধ্যমে আমি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমি আশা করি, এই ব্লগটি আপনাদের জন্য সহায়ক হবে এবং আপনারাও হাতের কনুই ব্যথার ব্যায়াম করে উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, ধৈর্য এবং নিয়মিততা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

যেকোনো পরামর্শের জন্য উত্তরায় +8801727177436 বা বনানীতে +8801774678604 নম্বরে যোগাযোগ করুন (সকাল ৯:০০ থেকে রাত ৯:০০ পর্যন্ত) এবং এপয়েন্টমেন্ট নিন।

আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ পেইন কিউর

 

বিস্তারিত জানুন: হাতের কনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত ব্যথা

বিস্তারিত জানুন: ডান বা বাম হাতের কনুই ব্যথা দূর করার উপায়

বিস্তারিত জানুন: সেক্সে রসুনের উপকারিতা কি

বিস্তারিত জানুন: টেনিস এলবো রোগ কি, গলফার এলবো কী, কেন হয় এবং চিকিৎসা

সাধারণ জিজ্ঞাসা

বেঞ্চ প্রেস, পুশআপ এবং চিন-আপ: এই ব্যায়ামগুলো আপনার ফ্লেক্সরগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা টেনিস এলবোর জ্বালাপোড়া বাড়াতে এবং অবস্থাকে আরও খারাপ করতে পারে। কব্জির ব্যায়াম: অনেক কব্জির ব্যায়াম বাহু এবং কনুইতে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা আঘাতকে আরও গুরুতর করে এবং ব্যথাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে।

সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে হাত বাঁকিয়ে উপরে তুলুন যতক্ষণ না হাত আপনার কাঁধ স্পর্শ করে। ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে এই অবস্থায় থাকুন। এটি ১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন।

কনুইতে ব্যথা শুরু হলে, আপনার বাহুর উপরের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যেতে পারে, যা ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এই পেশীগুলি প্রসারিত করলে টান কমতে পারে এবং কনুইয়ের ব্যথা উপশম হতে পারে। ৩০ সেকেন্ড ধরে স্ট্রেচিং করুন। কনুই সোজা রাখতে ভুলবেন না।

কনুইতে ব্যথা শুরু হলে, ব্যথা বাড়তে না দেওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারেন। ব্যথা তীব্র হলে, হাতের ব্যায়াম বন্ধ করা ভালো (তবে সব ব্যায়াম একসঙ্গে বন্ধ করার প্রয়োজন নেই)।

টেনিস এলবো থাকলে এই ব্যায়ামটি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। পুশআপগুলি ট্রাইসেপস, পেকটোরাল এবং কাঁধের পেশীগুলির জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, কিন্তু এর জন্য বারবার কনুই বাঁকাতে হয়। ফলে, ইতিমধ্যে আহত কনুইয়ের টেন্ডনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *